Header Ads

নাসা নিয়ে কতটুকু জানেন?


জ্যোতির্বিজ্ঞান ও নাসা এই ২ টা শব্দ যেন একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জ্যোতির্বিজ্ঞান বা মহাকাশ মিশনের সকল কার্যক্রম এবং উদ্যোগের সাথে নাসা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সংযুক্ত রয়েছে। তেমনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতি এবং মহাকাশযাত্রার সফল মিশনে নাসার অবদান অনস্বীকার্য। তবে এই নাসা সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? অনেকে তো নাসার পূর্ণরূপ ই জানে না। আজ আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে নাসার অতীত, বর্তমান ও অজানা তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।



নাসা(NASA) এর পূর্ণরূপ  National Aeronautics and Space Administration (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। এটি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নাসা। এই সংস্থার সদর দফতর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। পুরাতন সংস্থা নাকা (ন্যাশনাল অ্যাডভাজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স) অবলুপ্ত হয়ে ১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট অনুসারে নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কিন মহাকাশ যাত্রায় এই প্রতিষ্ঠানে ভূমিকা অ্যাপোলো চন্দ্রযাত্রা, স্কাইল্যাব মহাকাশ স্টেশন ও স্পেস শাটল প্রভৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের সাথে যুক্ত ৫টি সংস্থার একটি।   

নাসার বর্তমান প্রশাসক মাইক গ্রিফিন। তিনি একজন আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী ও এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। 



‘নাসা’র প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হল একটি বিল যাতে বলা হয়, "পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের ভেতর ও বাইরে বিমান চালনার সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে গবেষণার জন্যই গড়া হচ্ছে নাসা।"
মানুষের চাঁদে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছা ছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু হঠাত করে তো আর মানুষ পাঠিয়ে দেওয়া যায় না চাঁদে! তাই চাঁদ কে সম্পূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করতে  তা বুঝতে ১৯৬৪ সালে চাঁদে প্রথম একটি ‘ল্যান্ডার’ মহাকাশযান পাঠাল নাসা। এই সেই ‘ল্যান্ডার’ মহাকাশযান ‘রেঞ্জার-৭’।



এটাই প্রথম চাঁদের পিঠের ছবি। ১৯৬৪ সালে তুলেছিল নাসার ‘ল্যান্ডার’ মহাকাশযান ‘রেঞ্জার-৭’। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই মার্কিন মহাকাশযানের পিঠে চেপে চাঁদের পিঠের 
মোট ৪৩১৬টি ছবি তুলেছিল ‘রেঞ্জার-৭’। সেই সব ছবি বিশ্লেষণ করে নাসা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চাঁদের পিঠের কোন দিকটায় নামানো হবে মানুষ।
১৯৬৯ সাল। সেই প্রথম এই সৌরজগতের  আমাদের প্রতিবেশী ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলের প্রায় কাছ ঘেঁষে চলে যায় ‘মারিনার-৬’। ওই সময় খুব কাছ থেকে মঙ্গলের ২০টি ছবি তুলেছিল নাসার এই মহাকাশযান।



১৯৬৯-র ২৯ জুলাই, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার যে দিন (১৯৫৮) সই করেছিলেন ‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যাক্ট’-এ, ১৮ বছর পর সেই দিনেই চাঁদের মাটিতে
 প্রথম পা পড়ল মানুষের। নিল আর্মস্ট্রং, মাইক কলিন্সের সঙ্গে চাঁদে হাঁটলেন বাজ অলড্রিন। এখানে সেই অলড্রিনকেই দেখা যাচ্ছে।
১৯৭১ সালে ‘অ্যাপোলো-১৫’ অভিযানে চাঁদের মাটিতে আবার নামল ‘ফ্যালকন’ মহাকাশযান। ৩ দিন ধরে ১৮ ঘণ্টা চাঁদের মাটিতে হাঁটলেন দুই মহাকাশচারী ডেভ স্কট ও জিম আরউইন। হ্যাডলি রিলে এলাকায় সেই প্রথম চাঁদের মাটিতে গাড়ি (‘মুন কার’) চালালেল মহাকাশচারীরা। সে এক ইতিহাস। এই যন্ত্রটিই প্রথম খবর দিয়েছিল, মঙ্গলে এখনও পানি রয়েছে। 





২০০৮ সালেই শনির চাঁদ ‘টাইটান’-এ প্রথম তরলে ভরা হ্রদের হদিশ পেয়েছিল নাসার মহাকাশযান ‘ক্যাসিনি’। সেই তরল অবশ্য পানি নয়। ইথেনের মতো কিছু তরল হাইড্রোকার্বন। আজ থেকে ৪০০ বছর আগে, ১৬১০ সালে টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে প্রথম শনি গ্রহের বলয় দেখতে পেরেছিলেন গ্যালিলিও গ্যালিলেই। 

তার ৩৬০ বছর পর, গত শতাব্দীর সাতের দশকের শেষাশেষি শনির সেই বলয়ের এই ছবি তুলেছিল নাসার ‘ভয়েজার’ মহাকাশযান।




আজ তাহলে এতটুকুই থাক। নাসা নিয়ে আবারও কোনদিন আলোচনা করব। 

কোন মন্তব্য নেই

sololos থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.