Header Ads

Solar System - সৌরজগৎ


সূর্য একটি নক্ষত্র। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী আরও সাতটি গ্রহ ও অন্যান্য জ্যোতিস্ক ঘুরছে। সূর্য এবং একে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান সকল জ্যোতিস্ক ও ফাঁকা জায়গা নিয়ে আমাদের সৌরজগত গঠিত। সৌরজগতের বেশির ভাগ জায়গায়ই ফাঁকা।
সৌরজগৎ এর সৌর বা Solar System এর Sol এর অর্থ সূর্য, যা প্রাচীন রোমান ভাষা থেকে আগত। অর্থাৎ সূর্যকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জগতই হচ্ছে সৌরজগৎ বা সোলার সিস্টেম! কিন্তু অন্য নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এমন জগতকে অবশ্যই সৌরজগৎ বলা হতো না! যেমন পোলারিস নক্ষত্রের অধীনে থাকা গ্রহ, উপগ্রহকে হয়তো বলা হবে Polar System! এটা সিরিয়াস হিসেবে নেয়ার কিছু নেই, মজা করলাম! যাই হোক, আমাদের সৌরজগৎ সূর্য নামের একটি মাঝারী আকারের নক্ষত্র ও এর চারপাশে ঘুরতে থাকা ৮টি গ্রহ, এদের উপগ্রহ, বামন গ্রহ, উল্কা, গ্রহাণু, ধুমকেতু ইত্যাদি নিয়ে গঠিত!
আমরা জানি যে এসবকিছুই সূর্যকে কেন্দ্র করে একে নিয়মিত গতিতে প্রদক্ষিণ করছে, কিন্তু আদিম সভ্যতা ভাবতো পৃথিবী ই সবকিছুর কেন্দ্র ও একে কেন্দ্র করেই অন্যান্য নক্ষত্র, সূর্য ও গ্রহ আবর্তন করছে। আমাদের সৌরজগতে সূর্যই সব শক্তির উৎস। তাপ ও আলোর রুপে শক্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে এটি সৃষ্টির শুরু থেকেই। আমাদের সূর্য অবস্থান করছে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে, আর এটি এই গ্যালাক্সির ২০ হাজার কোটি নক্ষত্রের একটি।

সৌরজগতের উৎপত্তি : অধিকাংশ বিজ্ঞানী ও গবেষকের মতে আমাদের সৌরজগতের উৎপত্তি সোলার নেবুলা থেকে। বিশাল গ্যাসের স্তুপ অভিকর্ষের টানে একজায়গায় জড়ো হতে থাকে, পরে কেন্দ্রে উৎপন্ন হয় সূর্যের আদি গঠন। এই আদি সূর্যকে ঘিরে চারপাশের বাড়তি গ্যাসগুলো ঘুরতে ঘুরতে চাকতির মতো একটা আকার ধারণ করে। পরে এই গ্যাসীয় চাকতির অধিকাংশ গ্যাসীয় উপাদানই সূর্য নিজের দিকে টেনে নেয়, কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় কিছু গ্যাস আবার ঘনীভূত হয়ে গ্রহ কণা গঠন করে। সব গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু আর ধূমকেতুকে একত্রে গ্রহ কণা বা প্ল্যানেটেসিমাল বলে! সূর্য যখন পুরোপুরি সুগঠিত হয়ে পড়ে ও ফিউশন প্রক্রিয়ায় জ্বলতে শুরু করে, তখন সৌরবায়ুর প্রভাবে আশেপাশের অতিরিক্ত হালকা গ্যাস তথা হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ইত্যাদি উড়ে চলে যায়। আর সূর্যের কাছাকাছি থাকা গ্রহগুলোর ওপর থেকে এসব গ্যাসের আস্তরণও সরে যায়। এ কারণে সূর্যের কাছাকাছি থাকা ৪টি গ্রহ কঠিন। এদের স্থলজ গ্রহ বলে। কিন্তু মঙ্গলের পর থেকে বাকি গ্রহগুলোতে সৌরবায়ুর প্রভাব কম থাকায় সেগুলো গ্যাসীয় দানব হিসেবে রয়ে যায় আমাদের সৌরজগতে! এ সবই আল্লাহর ইশারায় হয়।
সৌরজগতের উপাদান : আমাদের সৌরজগতের মূল ও প্রধান উপাদান হচ্ছে সূর্য। মোট সৌরজগতের ৯৯.৮% ভর সূর্যের একাই বহন করে। বাকি ০.২% মিলে অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ ইত্যাদি! সূর্যের কাছে থেকে দূরে সাজালে ক্রমানুসারে ৮টি গ্রহ হচ্ছে, বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। ইংরেজিতে যাদের নাম Mercury, Venus, Earth, Mars, Jupiter, Saturn, Uranus ও Neptune. পৃথিবী বাদে সবগুলোই রোমান দেবতা ও দেবীর নামানুসারে রাখা হয়েছে। মানে মিথোলজি আর অ্যাস্ট্রোনমি একে অপরের সাথে দারুণ ভাবে জড়িত! অধিকাংশ গ্রহের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে এদের এক বা একাধিক উপগ্রহ! পরের পর্বে সব গ্রহ নিয়ে বিস্তারিত লিখবো। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে বড় একটি জায়গা জুড়ে গ্রহাণুপুঞ্জ রয়েছে। গ্রহাণু হচ্ছে গ্রহের তুলনায় অনেক ছোট অনিয়মিত আকারের পাথরের চাঁই। এরা অনেক ছোট থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার বড় ও হতে পারে। সৌরজগতের আরেকটি উপাদান ধুমকেতু হচ্ছে বরফ ও পাথরের বিশাল পিণ্ড! সূর্যের কাছাকাছি এলে এর কেন্দ্রে থাকা বরফ গলে গ্যাসে পরিণত হতে থাকে, আর তা সৌর বায়ুর প্রভাবে সূর্যের বিপরীতে উড়ে যেতে থাকে। তখন ছুটে চলার সময় মনে হয় এর পেছনে লেজ গজিয়েছে!

              Xiaomi Mi TV Box S 4K HDR Android TV Box কিনুন অবিশ্বাস্য কম দামে

গ্রহগুলোর পরিচয়:সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে আটটি গ্রহ। পৃথিবী এমন একটি গ্রহ। গ্রহসমুহ সাধারণতঃ গোলাকাকৃতির। গ্রহগুলোতে বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থ রয়েছে। কিন্তুগ্রহগুলো নিজেরা শক্তি উৎপাদন করে না। তাই কোন গ্রহ নিজে আলো বা তাপ নিঃসরণ করে না। পৃথিবীথেকে সূর্যের অন্যান্য গ্রহকে উজ্জ্বল দেখালেও এগুলো আসলে সূর্যের আলোতে আলোকিত। গ্রহগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় হলো
বুধ:বুধ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ। এতে কোন বায়ু মন্ডল নেই। এটি ৮৮ দিনে সূর্য কে একবার প্রদক্ষিণ করে আসে।
শুক্র:পৃথিবী থেকে সন্ধায় পশ্চিম আকাশে সন্ধাতারা এবং ভোরবেলায় শুকতারা রূপে যে তারাটি দেখা যায় সেটি কোন নক্ষত্র নয়। এটি আসলে সূর্যের একটি গ্রহ যার নাম শুক্র। সূর্যের আলো এ গ্রহের উপরে পড়ে। তাই আমরা একে আলোকিত দেখি। এটি ৫৯ দিনে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
পৃথিবী:তোমরা হয়তো জান যে, কেবল পৃথিবীতেই জীবনেরজন্য উপযোগী উপকরণ ও পরিবেশ রয়েছে। পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে তৃতীয় গ্রহ।
মঙ্গল:মঙ্গলকে কখনও কখনও লাল গ্রহ বলা হয় কারণ এর পৃষ্ঠ লাল রঙের। এর পৃষ্ঠ ধুলিময় এবং এর খুবই পাতলা বায়ুমন্ডল রয়েছে। মঙ্গলের মাটির নিচে পানি থাকার সম্ভাবনা আছে বলে বিজ্ঞানীরা এখন মনে করেন।
বৃহস্পতি :বৃহস্পতি সূর্যের সবচেয়ে বড় গ্রহ। এটিতে শুধু গ্যাসই রয়েছে, কোন কঠিন পৃষ্ঠ নেই।
শনি:শনি গ্রহটিও কেবল গ্যাস দিয়ে তৈরি। এটিকে ঘিরে কতগুলো রিং বা আংটা রয়েছে।
ইউরেনাস:ইউরেনাস গ্যাস ও বরফ দিয়ে গঠিত।
নেপচুন :নেপচুনও অনেকটা ইউরেনাসের মতো একটি গ্রহ।
আগে পুটো নামক একটি জ্যোতিস্ককে গ্রহ বলা হতো। কি ন্তু২০০৯ সালে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তনেন যে, এটি একটি ক্ষুদ্র অসম্পূর্ণ গ্রহ।


সৌরজগতে অন্যান্য জ্যোতিস্ক :
আমাদের সৌরজগতে সূর্য , গ্রহ ও উপগ্রহ ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য জ্যোতিস্ক। এরা হলো, ধুমকেতু , গ্রহাণু ,
উল্কা । সূর্য কে কেন্দ্র করে এরা ঘুরছে। গ্রহের চেয়ে আকারে বেশ ছোট কঠিন শিলাময় বা ধাতব বস্তু - যাদের নাম গ্রহাণু। এরা ক্ষুদ্র গ্রহের মতো। ধু মকেতু সমু হও আমাদের সৌরজগতের অংশ। এরা কঠিন (গ্যাস, বরফ ও ধু লিকণা) পদার্থ দিয়ে তৈরি। তবে তা তাপ পেলে কিছু অংশ সহজেই গ্যাসে পরিণত হতে পারে। যখন ধু মকেতু সমুহ সূর্যে র কাছাকাছি যায় তখন সূ র্যে র তাপে গ্যাসীয় ও কঠিন পদার্থ নির্গ ত হয়ে আকাশে ছড়িয়ে যায়। তখন এটি ঝাটার মত দর্শ নীয় লেজে পরিণত হয়। পৃথিবী থেকে এদেরকে কখনও কখনও দেখা যায়। কোন কোন ধু মকেতু অনেক বছর পর পর পৃ থিবীর আকাশে দেখা যায়। যেমন, হ্যালির ধুমকেতু গড়ে ৭৫ বছর পরপর পৃ থিবী থেকে দেখা যায়। এটিকে ১৯১১ সালে এবং ১৯৮৬ সালে দেখা গেছে। একে আবার ২০৬২ সালে দেখা যাওয়ার কথা।

কোন মন্তব্য নেই

sololos থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.