Header Ads

BIG BANG THEORY - বিগ ব্যাং থিউরি/ মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব



ভৌত বিশ্বতত্ত্বে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব বা বিগ ব্যাং থিউরি মুলত মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রদত্ত একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। এই তত্ত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো কোন ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার পরিবর্তে একটি বিশেষ মুহূর্তে মহাবিশ্বের উদ্ভব। মহাবিস্ফোরণ শব্দটি প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতি শক্তিশালী বিস্ফোরণকে বোঝায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল, আবার অন্যদিকে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও গঠন নিয়ে বিশ্বতত্ত্বে যে মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে তাকেও বোঝায়। এর দ্বারাই মহাবিশ্বের প্রাচীনতম বস্তুসমূহের গঠন সম্পর্কে ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, যার জন্য মহাবিস্ফোরণ মতবাদের পরই আলফার-বেটে-গ্যামফ তত্ত্ব প্রণীত হয়েছিল। 

এই তত্ত্ব বলে আজ থেকে প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছর পূর্বে এই মহাবিশ্ব একটি অতি ঘন এবং উত্তপ্ত অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানী এডুইন হাবল প্রথম বলেন, দূরবর্তী ছায়াপথসমূহের বেগ সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা পরষ্পর দূরে সরে যাচ্ছে অর্থাৎ মহাবিশ্ব ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের ফ্রিদমান-ল্যমেত্র্‌-রবার্টসন-ওয়াকার মেট্রিক অনুসারে এটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।


এই তত্ত্বসমূহের সাহায্যে অতীত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সমগ্র মহাবিশ্ব একটি সুপ্রাচীন বিন্দু অবস্থা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই অবস্থায় সকল পদার্থ এবং শক্তি অতি উত্তপ্ত এবং ঘন অবস্থায় ছিল। কিন্তু এ অবস্থার আগে কী ছিল তা নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে কোন ঐকমত্য্য নেই। অবশ্য সাধারণ আপেক্ষিকতা এর আগের সময়ের ব্যাখ্যার জন্য মহাকর্ষীয় অদ্বৈত বিন্দু (সিংগুলারিটি) নামক একটি শব্দের প্রস্তাব করেছে।


মহাবিস্ফোরণের একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল হল, বর্তমানে মহাবিশ্বের অবস্থা অতীত এবং ভবিষ্যতের অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। এই তত্ত্বের মাধ্যমেই ১৯৪৮সালে জর্জ গ্যামফ অনুমান করতে পেরেছিলেন যে, মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণের অস্তিত্ব রয়েছে। ১৯৬০-এর দশকে এটি আবিষ্কৃত হয় এবং স্থির অবস্থা তত্ত্বকে অনেকটাই বাতিল করে মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বকে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়।

মুলত মহাশূন্যের সম্প্রসারণ মুলত ছিল সর্বব্যাপী। একইভাবে মহাশুন্যের সম্প্রসারণ এখনো ঘটছে। তার মানে এই নয় যে আপনার পরমানুগুলোও সম্প্রসারিত হচ্ছে (অথবা পদার্থের সম্প্রসারণ হচ্ছে)। একমাত্র মহাশূণ্যেরই সম্প্রসারণ ঘটছে। 
 

মহাজগতকে যদি ওভেনের ভেতর ফুলে ওঠা একটা রুটির মত কল্পনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে যে এটি সবদিক দিয়ে প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু রুটির ভেতরের কিছু থাকলে তার প্রসারণ ঘটছে না। বরং, রুটির ভেতরের টুকরাগুলো (ছায়াপথ) পাশাপাশি সরে এসে আবার একে অন্য থেকে আরো দূরে সরে যাচ্ছে, কারণ তাদের মধ্যবর্তী স্থান (মহাশূণ্য) সম্প্রসারিত হচ্ছে।যেহেতু, এই সম্প্রসারণ সর্বত্র হচ্ছে, “মহাবিশ্বের কেন্দ্র” এর কোন অর্থ হয় না। বরঞ্চ আমরা বলতে পারি যে প্রত্যেক পর্যবেক্ষকই তাদের মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এর কারণ হল “Light Horizon (ঘটনা দিগন্ত)”।

সুত্র ঃ Wikipedia 

কোন মন্তব্য নেই

sololos থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.