Header Ads

10 Scary Yet Beautiful Facts About Space & Us -আমাদের মহাকাশ নিয়ে ১০টি বিস্ময়কর তথ্য


মহাকাশ নিয়ে ১০টি বিস্ময়কর তথ্য 


মহাবিশ্বের বিশালতার মাঝে পৃথিবী অতি ক্ষুদ্র। অথচ এই পৃথিবীর অনেক রহস্যই এখনো আমাদের অজানা। এর কোনটি শুনলে হয়তোবা আপনি অবাক হবেন, অবিশ্বাস্য মনে হবে, আবার কোনটি শুনে হেসে উঠবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসাধারণ উন্নতির পরেও তাই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিকাংশই আমাদের কাছে রহস্যে ঘেরা। মহাবিশ্বের এই রহস্যগুলো নিয়ে সকলের মধ্যেই অনেক আগ্রহ। চলুন জেনে নিই সেরকম কিছু তথ্য......

১/ মহাবিশ্বের শেষ প্রান্ত বলে কিছু নেই 


কেউ কখনোই মহাবিশ্বের একদম শেষ প্রান্তে যেতে পারবে না। যদি কখনো কেউ এই মহাবিশ্বের একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরলরেখা বরাবর হাঁটতে থাকে, তবে অনন্তকাল হাঁটার পর সে আবার তার শুরুর জায়গাতেই ফেরত আসবে। অর্থাৎ বৃথা পরিশ্রম। 
২/  মহাকাশের শব্দ ও গন্ধ 
মহাকাশ সম্পূর্ণ নিঃশব্দ। তার কারণ মহাকাশে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। কাজেই শব্দ গমনের কোনও মাধ্যমও নেই। মহাশূন্য, তার ঘ্রাণ কেমন? কতিপয় কৌতুহলী মানুষের মনে কিন্তু ঠিকই এই প্রশ্ন জেগেছে! আর তারা বিভিন্ন মহাকাশচারীদের অভিজ্ঞতা শোনার পর এর উত্তর বের করেছেন।ওয়েল্ডিঙের কাজের সময় এর আশেপাশে থাকলে যে ঘ্রাণ পাওয়া যায়, মহাশূন্য বা স্পেসের গন্ধটা ঠিক অমন।
৩/ মহাকাশ ধোঁয়াশাচ্ছন্ন
সর্বপ্রথম আমেরিকান মহাকাশ গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান নাসা এ তথ্য সরবরাহ করেছিল যে মহাশূন্য খুব গভীর ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। খুব সকালে সূর্যের রশ্মি ও রাতে তারার আলোতে যে বিচ্ছুরণ সৃষ্টি হয় তা মূলত এই ধোঁয়াশার জন্যই হয়। উদাহরণস্বরূপ কোন কুয়াশাঘেরা পরিবেশে বাতির আলো এক ভিন্ন ধরনের রশ্মি বিচ্ছুরণ সৃষ্টি করে। 
৪/ আকাশের কী নির্দিষ্ট রং আছে?
নীল আকাশ বলে আমরা সবাই বললেও বাস্তবে আকাশের সুনির্দিষ্ট কোনো রং নেই। বায়ুমণ্ডলের ক্ষুদ্র অণুগুলো দৃষ্টিসীমার প্রান্তে নীল হয়ে দেখা যায়। মূলত অবস্থাভেদে আকাশ বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে। আবার রংধনুর মেলায় একসাথে সাত রঙেও সেজে ওঠে। অর্থাৎ আকাশ বহুরূপী। 
৫/ মহাকাশে সূর্য সাদা ! 
 মহাকাশ থেকে সূর্যকে হলুদ নয়, সাদা দেখায়। কারণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সূর্যের ফোটন কণা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়, তাই সূর্যের দীর্ঘতর দৈর্ঘ্য সম্পন্ন হলুদ, কমলা আর লাল আলোকরশ্মিগুলিই কেবল আমাদের চোখে ধরা পড়ে। যেহেতু মহাকাশে বায়ুমণ্ডল নেই, কাজেই এই ঘটনাটি এখানে ঘটেনা। 


চিত্র ঃ মহাকাশের সূর্য 

৬/ মাঝেমাঝে অস্তিত্বহীন নক্ষত্র দেখি আমরা 
রাতের পরিষ্কার আকাশে আমরা যে অসংখ্য নক্ষত্র দেখি তাদের অনেকের হয়তো অস্তিত্ব নেই। আলো বিকিরণ করতে করতে, ধীরে ধীরে তারা নিঃশেষ হয়ে গেছে। তবুও আমরা তাদের দেখতে পাই কারণ এসব নক্ষত্রের বেশিরভাগই পৃথিবী থেকে শতকোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। সেখান থেকে আলো পৃথিবীতে এসে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে।বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পূর্বে তাদের নিঃসৃত আলো আমরা এখন রাতের আকাশে দেখছি। বিস্ময়কর না!!
৭/ মহাকাশে বিপুল জল 
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন মহাকাশে একটা বিশাল এক জলাধার রয়েছে। যার পরিমাণ পৃথিবীতে সকল সাগরে যতটা জল রয়েছে তার ১ কোটি ৪০ লক্ষ কোটি গুণ বেশি জল রয়েছে সেখানে। 
৮/ মহাজগতের মাত্র সামান্য অংশ উন্মোচিত 
বিজ্ঞানীরা এই মহাবিশ্বের যতটুকু দেখতে বা আবিষ্কার করতে পেরেছি তা পুরো মহাজগতের মাত্র ৫ শতাংশ। অন্য ৯৫ শতাংশে রয়েছে 'ডার্ক এনার্জি' আর 'ডার্ক ম্যাটার'।  বিজ্ঞানীদের ধারণা, ডার্ক এনার্জি এক রহস্যময় শক্তি যা মহাজগতের আকার বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে চলেছে। আবার একে আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির একটি ভুল বলেও ব্যাখ্যা করা যাবে। ডার্ক ম্যাটার মূলত অদৃশ্য বস্তু যা গ্যালাক্সির উপাদানের সমষ্টি। আমরা যতটুকু দেখতে পাই তা অতি সামান্য। আর বাকিটুকু হচ্ছে ডার্ক ম্যাটার।
৯/ মহাকাশে পানি ফোটানো
সচরাচর পানি ফুটানোর সময় বুদবুদ আকারে অনেকগুলো পানির ফোঁটা পাত্রের উপরে দেখা যায়। কিন্তু কেউ যদি মহাকাশে যেয়ে কোনোভাবে পানি ফোটানোর চেষ্টা করে, তাহলে কিন্তু এ ঘটনা ঘটবে না। সেখানে অনেকগুলোর পরিবর্তে একটামাত্র দানবাকৃতির বুদবুদ উঠে আসবে।
১০/ চাঁদের বুকে ওয়াইফাই 
নাসা চাঁদের বুকে ওয়াইফাই ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। এর গতি আমাদের বাসার ইন্টারনেট গতি থেকেও বেশি, ১৯.৪৪ এমবি/সেকেন্ড এবং ডাউনলোড স্পিড ৬২২ এমবি/সেকেন্ড যা পৃথিবীর যেকোন ওয়াইফাই এর তুলনায় ৪০০০গুন। 

কোন মন্তব্য নেই

sololos থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.